সুরা ফাতিহার বাংলা অর্থ ও ব্যাখ্যা



সূরা ফাতিহা বাংলা আর্থ ব্যাখ্যাঃ-
1)   সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ জন্য, যিনি নিখিল জাহানের রব
2)   যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
3)   যিনি বিচার দিনের মালিক
4)   আমরা কেবল তোমারই গোলামী করি, এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই
5)      আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর
6)      সমস্ত লোকদের পথ যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ
7)      যারা অভিশপ্ত নয় এবং পথভ্রষ্ঠ নয় তাদের পথ আমাদেরকে প্রদর্শন কর
নিচে সাতটি আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়া হলোঃ-
v সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ জন্য, যিনি নিখিল জাহানের রব
এই আয়াতটি দ্বারা মহান আল্লাহ্আমাদের এই বিষয়টি বোঝাতে চাইছেন যে, নিখিল জাহানের (অর্থ্যাৎ সকল দৃশ্য অদৃশ্য জগৎ এর) স্রষ্টা মহান আল্লাহ্ এই সব কিছু আপনা-আপনি সৃষ্টি হয় নিই, আর তা সম্ভব নয়, তাই স্রষ্টা একমাত্র তিনিই অথবা স্রষ্টা যদি একাধিক হতো তবে একে-অপরের সৃষ্টি ধ্বংস করে দিতো, সূতরাং একমাত্র তিনিই স্রষ্টা এর কেউ নন
আয়াতঃ ১৬৫ সূরা বাক্বারাহঃ-
আর মানুষের মধ্যে এমনও কেউ কেউ আছে যারা আল্লাহ্ছাড়া অন্যকে সমকক্ষরুপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে; কিন্তু যারা মুমিন তারা আল্লাহর ভালবাসায়  দৃঢ় জালিমরা শাস্তি দেখলে বুঝবে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহ্রই আল্লাহ্কঠিন শাস্তিদাতা
আর তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার সব কিছু তিনিই নিয়ন্ত্রন করেন, অন্য কেউ নন
সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বিজ্ঞানী তিনি, আর তিনি যাকে যতটুকু জ্ঞানদান করেন তার বেশি কেউ অর্জন করতে পারে না সুতরাং মানুষের যত প্রতিভা, সব আল্লাহ্ দান মানুষ যা করে তা সব আল্লাহ্করতে দেন বলেই করে থাকে, অর্থ্যাৎ মানুষ যা করেন তা আল্লাহ্করে থাকেন

আয়াতঃ- ২৫৫ সূরা- বাক্বারাহ্(আয়াতুল কুরসী)
আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী; তাকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, আর না নিন্দ্রা আকাশ মন্ডল পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছু তারই এমন কে আছে, যে তার কাছে সুপারিশ করবে তার অনুমতি ছাড়া? তিনি তাদের অগ্র-পশ্চাতের সবকিছু জানেন তার ইচ্ছা ব্যতীরেকে তার জ্ঞানের কোন কিছুই কেউ আয়ত্ত করতে পারে না আর তার আসন আসমান যমীন পরিবেশষ্টিত এদের হেফাজতে তার কোন কষ্ট হয় না তিনি সমুন্নত, মহামহিম ” 
সুরা আল আম্বিয়া আয়াত ২২
যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র।   
অর্থ্যাৎ
পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে ভাল-খারাপ, দৃশ্য-অদৃশ্য, সব কিছু তার ইচ্ছাতেই ঘটে থাকে তাই সকল কাজেই আল্লাহকে প্রশংসা করতে হবে সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ কারন মানুষ যা কিছু করে তা শরীর আত্তা দ্বারা দুটোই আল্লাহ দান আল্লাহর সৃষ্টি মানুষের তো নয়, যেহেতু মানুষ তার কাজের জন্যই প্রশংসিত হয়, অনুরুপ আল্লাহ আমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্যে সর্বদা তাকে প্রশংসা করা উচিত । খারাপ ও মন্দ কাজ শয়তান কর্তৃক মানুষকে প্ররোচনা দিয়ে করিয়ে থাকে । আর যেহেতু আল্লাহ শয়তান কে অনুমতি দিয়েছেন তাই আল্লাহ শয়তান কে বাধা দেন না তার কাজে । কিন্তু যে ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে আশ্রয় পার্থনা করে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন । এটাই মহাসত্য ।
তাই আমদের সব সময় একমাত্র আল্লাকেই প্রশংসা কতে হবে । 
যিনি পরম করুনাময় এবং অসীম দয়ালু । 
আল্লাহ বলেছেন, আমি অসীম দয়ালু এবং ক্ষমাশীল । আমি যদি তোমাদের উপর কঠর হতাম তাহলে তোমরা ধব্বংস হয়ে যেতে । আমিই একমাত্র রব্ব যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন । তাই আমিই তোমাদের পথ প্রদর্শক,রিযিকদাতা,ক্ষমাকারী, শাস্তিদাতা, সাহায্যকারী, মুক্তিদাতা, হিসাব গ্রহনকারী, চুরান্ত সিন্ধান্তের একমাত্র মালিক, এবং এই মহা বিশ্বের মালিক । সুতরাং তোমরা যত অপরাধ কর যদি আমার কাছে একান্ত নম্র বিনয়ী ভাবে ক্ষমা চাও এবং নিজের ভুল বুঝতে পার তবে আমি তোমাকে পাহার বা সমুদ্রের ফেনা সমান অপরাধ ও ক্ষমা করে দেব ।
  যিনি বিচার দিনের মালিক
সুরা আল আম্বিয়া আয়াত ১৬-১৭-১৮
 ''আকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে ি করিনি।
আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হত। 
বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ।  '''''''
সুরা আম্বিয়া ১
মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী; অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।  
সুরা আম্বিয়া  ৬


তাদের পূর্বে যেসব জনপদ আমি ধবংস করে দিয়েছি, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি; এখন এরা কি বিশ্বাস স্থাপন করবে?  
সুরা জুখরুফ আয়াত ৬০-৬১ 
আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত। 
সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তোমরা কেয়ামতে সন্দেহ করো না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।  
সুরা আল বাকারা আয়াত ০৪
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। 
আমরা কেবল তোমারই গোলামী করি, এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই


সাধারনত গোলামি তারই করা হয় যার সকল আইন-বিধান পালন করা হয় যার কাজ করা হয়, যার আনুগত্য প্রকাশ করা হয়, তাকেই গোলামি করা হয় ।
কিন্তু বর্তমানে মানুষ আল্লাহর গোলামি করছে না বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায় কারন তারা চাকরি করে গনতন্ত্রের, মালিকের নিজের, পিতা-মাতার । এখন কেউ আল্লাহর উপর সাহায্যও চায় না গোলামিও করে না । মানুষের গোলামি করে মানুষের কাছে সাহায্য চায় । বলতে পারেন কিভাবে তার উত্তর দিব পরের পোস্টে ।

আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর
সরল সঠিক পথ কি সেটা আমাদের যানতে হবে ।
পবিত্র কোর-আন পাকে আল্লাহ বলছেন যে, সুরা ইয়াসীন আয়াতঃ- ৬০-৬১ 
হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ। 
সুরা আল ইমরান ৫০-৫১
 কাজেই আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার রব্ব এবং তোমাদেরও রব্ব-তাঁরই দ্বাসত্ব, আইনের আনুগত্য,উপাসনা (ইবাদত) কর, এটাই হলো সরল পথ। 
সুরা আল ইমরান ৮৪-৮৫
বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত। 

যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। 
বাদ বাকি বাক্য গুলি ব্যাখ্যা করার কোন বিশেষ প্রয়োজন নেই । এই বাক্য গুলি সহজেই বোঝাযায় তাই আর ব্যাখ্যা করা হল না । 






1 comment: